ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ এবং সামাজিক উদ্যোক্তা। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন গ্রামীণ ব্যাংক। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

ড. ইউনূসের কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান ও পরিচয়:
- ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তন: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনি ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তন করেন, যা মূলত ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে সহায়তা করে।
- গ্রামীণ ব্যাংক: ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি দরিদ্রদের, বিশেষ করে মহিলাদের, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- নোবেল শান্তি পুরস্কার: ২০০৬ সালে ক্ষুদ্রঋণ ধারণার মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
- সামাজিক ব্যবসা: ড. ইউনূস "সামাজিক ব্যবসা" ধারণার প্রবক্তা। এই ধরনের ব্যবসায় সামাজিক সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে লাভের উদ্দেশ্যে নয় বরং সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করা হয়।
- বই: তিনি একাধিক বই লিখেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো "ব্যাংকার টু দ্য পুওর" এবং "বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস"।
ড. ইউনূসের কাজ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মডেলগুলি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিখ্যাত বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবক্তা হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন। তার এই উদ্যোগ দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়ক হয়েছে।
ড. ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু করেন এবং ১৯৮৩ সালে এটি একটি স্বাধীন ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষকে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে থাকে।
ড. ইউনূসের উদ্যোগ এবং তার প্রচেষ্টার জন্য তিনি ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। তার কাজের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং স্বাবলম্বী হয়েছে। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল।
ড. ইউনূসের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও উদ্যোগ দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে এবং তিনি মানবতার সেবায় অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment